ভিজা খাবারের সাথে তেলাপোকার বিষ্ঠা এবং বিড়ালের পায়খানা পাওয়ায় চট্টগ্রারেম এক মুদি দোকানিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তাধিকার।
এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন বাজারে মূল্য তালিকা না থাকায়, ক্রয় রশিদ না থাকায়, পণ্যের গায়ে মল্য না লিখায় এবং অস্বাস্থ্য মুদি সামগ্রী বিক্রি করার অভিযোগে কয়েকটি সবজি দোকান, মুরগির দোকান এবং দুই মুদির দোকানকে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন বাজারে মুরগি, সবজি ও মুদি সামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় ও জেলা কার্যালয়। সাথে ছিল ছাত্র জনতা। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সদস্যরাও।
অভিযানে ধরা পড়ে গা শিউরে উঠার মতো দৃশ্য। ক্ষতিকর রং মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে কাঁচা বুট। শুকনো বুটে রং মিশিয়ে কাঁচা বুট বলে বিক্রি করার অভিযোগে ছিদ্দিকের সবজিদের দোকান ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং বিক্রি করতে আনা রং মেশানো বুট পা দিয়ে পৃষ্ট করে ধ্বংস করে ভোক্তাধিকার।
তবে ভুল স্বীকার করে ভবিষ্যতে শুধরে নিবেন বলে জানান ঐ ব্যবসায়ী।
এছাড়া মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় এবং দামের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হওয়ায় দুইটি সবজির দোকানকে ৪ হাজার টাকা। ক্রয় রশিদ দেখাতে না পারায় এবং দামের মধ্যে পার্থক্য থাকার অভিযোগে একটি মুরগির দোকানকে ৩ হাজার টাকা। পণ্যে গায়ে মুল্য লিখা না থাকায় এবং ময়লাযুক্ত ময়দা বিক্রির অভিযোগ এম এইচ ট্রেডার্স নামে একটি মুদির দোকানকে ৩ হাজার টাকা।
ভিজা খাবারের সাথে তেলাপোকার বিষ্ঠা এবং বিড়ালের পায়খানা পাওয়ায় আরেকটি মুদির দোকান ১ লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তাধিকার। সময় মিলে সর্বমোট ১ লাখ ১২ হাজার জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তাধিকার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় উপ পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ।
তবে দুই একজন ব্যবসায়ী পরবর্তী শুধরে নেওয়ার কথা বললেও। অনেকের দাবি এই জরিমানা যুক্তিসংগত হয়নি।